أنطولوجيا ألف ليلة وليلة |92| صبير حسين

  • 3/1/2022
  • 00:00
  • 1
  • 0
  • 0
news-picture

Arabian Nights. World Poems ألف ليلة وليلة. ألف قصيدة وقصيدة MD.Sabbir Hossain (Bangladesh), joins The Silk Road Literature Anthology 2022World Poetry Movement. Egypt : Arabian Nights. World PoemsMuhammad Sabbir Hossain;s career objective is to build an awesome career in Fine Arts sector which will help him to express my creativity and survive with honor in society. He studied Fine Arts in Rajshahi University, 2005, and UODA University, Dhaka (2009). He had a solo sculpture art exhibition at Alliens Francies de Dhaka, named ALPHABETS to year 2000 .from this exhibition Bangladesh national museum collect one of his sculptures: Imaginary face of corruptions. Another solo exhibition at Tangail to the year 2014, named: BANGLADESH ,MUKTI JUDHO O BANGALI. His last solo art exhibition at Chittagong shilpokola academy , to the year 2014, named OJANTA 2014.every year he arrange art competitions on behalf of Alphabet arts in Tangail. প্রিয়তমেষু। এক যে ছিল কবি ।রোজ সে একটা না দুইটা,দুইটা না তিনটা,কবিতা লিখতোই লিখতো। কারণ কবিতা দেবী, সে খুবই প্রসন্ন ছিলেন পূজারী কবির কবিতায় ছন্দে ,আনন্দে ।কবি বর প্রাপ্ত হয়ে উদ্বেলিত হৃদয়ে উদাস নয়নে কি এক ভাব এ ,ধ্যান মগ্ন হয়ে থাকেন। চেহারায় কি এক দ্যূতি খেলা করছে। দেবী প্রকাশ হলেন সুবাস ছড়িয়ে! কবির ঠোটে সফলতার হাসি, মুদিত দু নয়ন , কবি তনুমন দুলছে। দেবী তুমি এলে!? কবি, তুমি বড় মধুর করে ডাকো আমায়,আমার চঞ্চল মন তোমার ভাষার সুমধুর অমৃত সুধা পান পিয়াসী হয়ে যায় !কবির চেহারায় সত্যিই এক প্রেমিক কে আবিষ্কার করল কবিতা দেবী।কবির চোখে চোখ রেখে হেসে উঠল দেবী। অভিভূত হয়ে উঠল দেবী রূপি কবির মন ময়ূরী, কবির প্রেমের পংক্তি শ্রবণে।কবিতা দেবীর হাসিতে আরও মুগ্ধ চোখে কবি আর ও দুলাইন কবিতা শুনিয়ে দিল দেবীকে।।। অন্ধ ছিলাম আমি তুমি দিয়েছো আলো, চক্ষু জুরাও তুমি তুমি, যেন চাঁদেরই আলো।। দেবী তো খুবই খুশি হয়ে প্রিয় কবি কে একটি কালো হীরের আংটি উপহার দিয়ে বললো, প্রিয়তমেষু-এই আঙ্গুটি আমি তোমাকে দিচ্ছি, এটা তোমার রক্ষা কবচ, তা শুধু তুমিই দেখতে পাবে আর যারা তোমার সত্যিকার বন্ধু। বলেই কবিতা দেবী হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো।। পাহাড়ের উপরে এক ছোট্ট গ্রামের পাশে দিয়ে নদীর ঘাটের দিকে চলে গেছে যে,একটি আঁকা বাঁকা মেঠো পথ, সেই পথের পাশে এক বিশাল অশ্বত্থ বৃক্ষের নিচে ছোট্ট একটি কুটিরে কবির বসত।বারান্দায় গায়ের ছোট শিশুরা কবির কাছে পাঠ নেয়। কবি রাজসভার সভাকবি, নিত্য তার রাজপ্রাসাদে যাওয়া আসা। সোনা ঝরা এক বিকেলে পাগল করা হাসির শব্দে কবির ধ্যান ভেঙ্গে গেল ,কারন সে পথ দিয়ে যাচ্ছিলো শ্রীময়ী কামদেবী। কবিকে ধ্যানমগ্ন দেখে ইচ্ছে করেই সশব্দে হেসে ওঠেন কামদেবী। কামদেবীর রূপ দর্শনে কবি যেন আবার আর এক দুর্বার নতুন ধ্যানে পড়ে গেলেন! এক নতুন ,এক দুর্বার আকর্ষণ এ কবির দেহমন কামদেবীর জাদুকরী রূপের বশ হয়ে গেলো। কামদেবীর চোখের এক ইশারায়, কবি তার পিছু পিছু হেঁটে হেঁটে চলে গেলেন কামদেবীর সুরম্য প্রাসাদে। প্রিয় কবিতা দেবী কে কবি বিস্মৃত হলো। কবির গভীর ঘন নিশ্বাসে কামদেবীর প্রাসাদ আরও উজ্জ্বল আর উষ্ণ হয়ে উঠেছে। প্রাসাদে কবির জন্য ভোজের আয়োজন হয়েছে। চর্ব চোষ্য লেহ্য সবিশেষে কবির ভোজন পর্ব শেষে, ক্লান্ত কবি বিশ্রামের শয্যায়। কামদেবীর সর্বাঙ্গ যেন কথা বলছে কবির তৃষ্ণার্ত প্রাণের সাথে ।এভাবে দিন শেষে রাত আসে, রাত যায় দিন আসে, কবির ধ্যান আর ভাঙতে চায় না ।হঠাৎ একদিন ভোরবেলা কবির ঘুম ভেঙে যায় দোয়েলের গানের সুরে। ফুল বাগানে ফুলের শোভা দেখতে দেখতে হঠাৎ সূর্যের আলোয় তার হাতের হীরার আংটি উজ্জল দ্যুতি ছড়িয়ে কবিকে চমকে দিল! কবির দেহ মন শিহরিত হয়ে উঠলো। কালো হীরের দ্যূতির চমকে কবির মনে পড়ে গেল কবিতা দেবীর কথা, পাঠশালার কথা ,তার কুটিরের কথা,মনে পড়ে গেল সে একজন কবি, কিন্তু, কোথায় তার কবিতা , তাঁর যে একটি পঙক্তি ও মনে পড়ছে না! কবি আঁতকে ওঠেন,কোথায় চলে এসেছে কবি !? কবি কাউকে কিছু না বলেই শ্রীময়ী কামদেবীর প্রাসাদ ছেড়ে নিজের কুটিরের দিকে ছুট লাগালো। আড়ালে কামদেবী তার প্রাসাদের জানালা দিয়ে দেখছিলো কবির প্রস্থান আর হাসছিল। কবি কুটিরে ফিরে দেখলো সব ঠিক আগের মতই আছে। কবির মনে হলো এইমাত্র তিনি কবিতা দেবীর ধ্যান থেকে উঠলো তবে কি কামদেবীর যাদুকরী রূপের মায়া কেবলই একটি স্বপ্ন।খুব দ্রুত হাত মুখ ধুয়ে,কবি অশ্বত্থ বৃক্ষের নিচে, যেখানে তার আসন পাতা, সেখানে আসন গ্রহণ করলো। মন-প্রাণ দেহ এক করে কবিতা দেবীর ধ্যান দেবীর প্রকাশ কামনা করতে লাগলো ।কবিতা দেবী যেন কবির পথ চেয়ে অপেক্ষা করছিলো, কখন কবির মনে তার ডাক পড়বে। দেবীর প্রকাশ হলো মিষ্টি সুবাসে। কবির মন ভরে গেল কিন্তু কবিতা দেবীকে কবি আজ কি শোনাবে তার যে কিছুই মনে নেই !কবি বিচলিত।দেবী কবির চেহারায় তা প্রকাশ দেখে, কবি কে অভয় দিয়ে আশ্বস্ত করলো কবিতা দেবী।বললো,প্রিয়তমেষু-কবি-তোমার আজ সিদ্ধিলাভ হয়েছে। কবি তুমি আজ থেকে চিরযুবা, আজ তোমার আত্ম দর্শন ঘটেছে। সত্যিই তুমি দেহ মায়া কাটাতে পেরেছো যা তোমাকে একদিন ছেড়ে যেতে হবে। কবি তুমি আজ মুক্ত। দেবী কবির মস্তকে হাত রেখে আশীর্বাদ করলেন। এবার কবি চোখ মেলতেই দেখলো এক আলোকিত নারী মূর্তমান।কবি উঠে দাঁড়িয়ে ,দু পা এগিয়ে গিয়ে দেবীর সামনে দাড়াতেই, দেবী তাকে আলিঙ্গন করলো!.কবির মনে হল সে তার প্রাণ ফিরে পেয়েছে।কবির ধ্যান ভাঙলো ।কোথায় কবিতা দেবী!?কবি ডাকলো, দেবী দেবী !? অম্নি ,কে যেন কথা বলে উঠলো তার ভেতরে,এইতো আমি কবি ,এইতো আমি আছি তোমার সাথে। এবার কবি মন গান গেয়ে উঠল, বিনয়ে। ধন্য ধন্য ধন্য গো আমি বলি গো যাহারে ,কবিত্বে প্রকাশ তাহারআমি দেখেছি তাহারে।।।।। ভালবাসা।সাব্বির হোসাইন।২৬-০৬-২১

مشاركة :